=================
সাগর আল হেলাল
পরিবেশের উপাদান হলো আমাদের চারপাশেযা কিছু আছে তাকেই বুঝায়। পরিবেশের উপাদানকে স্বাভাবিকভাবে দুইভাগে ভাগ করা হয়েছে। একটি জীব, অপরটি জড়। জীবের মধ্যে মানুষ, পশু-পাখি অন্তর্ভূক্ত রয়েছে। জড় এর মধ্যে প্রাণহীন উপাদানকে বুঝানো হয়েছে। যেমন- ইট, কাঠ, পাথর ইত্যাদি। এখানে পরিবেশের জীব উপাদান নিয়ে আলোচনার চেষ্টা করা হয়েছে।
জীব উপাদানকে জাতি বাচক বিশেষ্য বলা হয়। এ জাতিবাচক বিশেষ্যকে দুইভাগে ভাগ করা হয়েছে। একটি হলো পুরুষ জাতি অন্যটি নারী জাতি। জীব উপাদানের নারী-পুরুষ বিভাজনে মানুষ হিসেবে আলাদা বিশেষ কোনো স্থান নেই। এটা Collective Noun. পরিবেশের এই বিন্যাস্ত হিসেবে নারী-পুরুষ সমান। মানুষ ব্যতীত অন্যান্য প্রাণীদের ক্ষেত্রে কেবলমাত্র বংশ বৃদ্ধি ছাড়া প্রাণীর আর কোনো কাজ নেই। এটা মানুষ, যে জ্ঞান অর্জন করে, সভ্য হয়ে অপরাপর প্রাণীকে জনকল্যাণে ব্যবহার করতে পেরেছে এবং করে যাচ্ছে।
সুতরাং দেখা যাচ্ছে মানুষ পরিবেশের একটি জীব উপাদান হয়েও শিক্ষা ও সভ্যতার কারণে প্রাণী হিসেবে অন্যান্য প্রাণী থেকে ভিন্নতা অর্জনে সক্ষম হয়েছে। এই সক্ষমতা একদিনে আসেনি, তিলে তিলে অর্জন করতে হয়েছে। পৃথিবী যতোদিন সভ্যতার পথে থাকবে, ততোদিন এই অগ্রগতি অব্যাহত থাকবে স্বাভাবিক ভাবেই এটা ধরে নেয়া যায়। সভ্যতা হিসেবে আজকে আমরা যা বুঝি, সেই গণিত ঠিক থাকলে মানুষ জাতি আরও উন্নতি লাভ করবে এবং উন্নত পরিশীলিত জীবন যাপনের মাধ্যমে সমাজের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
এদিকে, মানুষ ব্যতীত অন্যান্য প্রাণীদের বংশ বিস্তার প্রক্রিয়াতে বাহ্যিকভাবে পুরুষ প্রাণীর অগ্রণী ভূমিকা পরিলক্ষিত হয়। প্রকৃতির অমোঘ রীতিতে স্বভাবসুলভভাবেই নারী স্বত্ত্বা কোমল ও লাজুক হয়ে থাকে। পুরুষ প্রাণীকে আকর্ষিত করা বা জৈবিক ক্রিয়া-কলাপে তাদের আমন্ত্রণগুলো খুবই নান্দনিক হয়। তাদের শারীরিক গঠন, ত্বকের মসৃণতা, পালকের বাহারী রং, ফুলের ক্ষেত্রে নানা প্রকারের রঙের বিচিত্রতা পুরুষ স্বত্বাকে আকর্ষণ-আমন্ত্রণ করে। কিন্তু রতিক্রিয়ার সময় পুরুষ প্রাণীর পাষণ্ডতা কিন্তু চোখ এড়িয়ে যাবার মতো নয়। নারী স্বত্ত্বা একদিকে যেমন আকর্ষণ করে অন্যদিকে পুরুষ স্বত্ত্বা আগমনকে প্রত্যাখ্যান করতে উদ্যত হয়। এটাকে প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য বলা যায়। লজ্জানত অবস্থায় নারী স্বত্ত্বা আরও সুন্দর হয়ে ওঠে। পশু-পাখিদের এই সহজাত আচরণগুলো কিন্তু মানুষের মধ্যেও দেখা যায় না ! যায়। মেয়েদের চোখের রং, চুলের মসৃণতা, ঠোঁটের কমনীয়তা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। মেয়েরা সহজাত প্রবৃত্তি থেকেই ফুলেদের মতো করে নিজেদের সাজায়। মুখ্য উদ্দেশ্য কিন্তু জ্ঞাতসারে হোক আর অজ্ঞাতসারে হোক বিপরীত লিঙ্গকে আকর্ষিত করা।
পুরুষ চরিত্রের বৈশিষ্ট্য হিসেবে তাদের বেপরোয়া স্বভাবের হাত থেকে বা তাদের নিগ্রহ থেকে নারী স্বত্ত্বাকে রক্ষা করার জন্যই সভ্য জগতে নারী অধিকারের বিষয় বিশেষ বিবেচনা করা হয়েছে। এদিক থেকে বিবেচনা করলে সামাজিকভাবে অধিকারের ক্ষেত্রে নারীদেরকে আমরা ভালো অবস্থানে দেখতে পাই। ধর্ম বলুন আর আইন বলুন, তাদেরকে এই অধিকার প্রদান করেছে জগতের কল্যাণে, যৌনতায় শ্লীলতা রক্ষা করার জন্য। এখানে আইন করে- নারীর উৎপাদিত শিশুকে ভরণ-পোষণের ভার পুরুষের উপর ন্যস্ত করা হয়েছে লাগাম টানার জন্য।
সামাজিক কারণেই একটি নারী ০ থেকে ১৩ এবং ২৩ থেকে ততোর্দ্ধ বয়স পর্যন্ত নারীরা পুরুষকে সাথে নিয়ে চলতেই পছন্দ করে। সমস্য হয়ে যায় ১৪ থেকে ২২ বৎসর বয়স পর্যন্ত। এই ৯ বৎসর নারী স্বত্ত্বা প্রাণী জগতের অন্যান্য নারী স্বত্ত্বার মতো স্বাধীনতা চায়। কিন্তু এ বিষয়টা কিন্তু স্ববিরোধী। এই সময়কালের জন্য তারা যদি স্বত্ত্বার স্বাধীনতা- যার মধ্যে জড়ায়ুর স্বাধীনতাও রয়েছে, সেটা যদি ভোগ করতে চায় তাহলে উৎপাদিত সন্তানের ভার কে নেবে? উন্নত বিশ্ব এ ধরণের স্বাধীনতা প্রদান করে অসংখ্য কিশোরী মাতার সন্তানকে রাষ্ট্রীয়ভাবে লালন পালন করছে। সেই সমস্ত কিশোরী মা এবং তাদের ভবিষ্যত কেমন তা আমরা সকলেই কম-বেশি অবগত হয়ে থাকি। আমরা কি সেই পথে যেতে চাই ? এই সকল কিশোরী মাতারা কোনোদিনই একটি সংসারে টিকে থাকতে পারে না। পশু-পাখির মতো বহুগামিতায় লিপ্ত হয়ে অমানবিক, বিষণ্ণ জীবন-যাপনে বাধ্য হয়।
আমাদের মেয়েদের ভাববার দিন এসেছে। তারা আজীবন সুন্দর থাকার জন্য ৯ বৎসরের অনুশাসন যা সভ্য সমাজ তাকে দান করেছে সেটা মেনে চলবে, নাকি ৯ বৎসরের স্বাধীনতা ভোগের বিনিময়ে সারাজীবনের সুখি, মানবিক ও পরিশীলিত জীবনকে বিসর্জন দেবে।
-
০৩.১০.২০২২
Post a Comment