নবীর শিক্ষা-ভিক্ষা নয়

প্রিয় নবীর বাণী

প্রিয় নবী হযরত বারণ করেছেন ভিক্ষে করতে, কেন বারণ করলেন তিনি ? দরিদ্রগণ যাকাত গ্রহণ করেন বলে ? অনেক বয়ান শুনেছি পড়েছি আর্টিকেল কি রহস্য আছে রসুলের বাণীতে ? কাঠুরিয়াকে ভিক্ষে না দিয়ে, পকেট থেকে সাহায্য না দিয়ে তারই একমাত্র সম্বল কম্বল বিক্রি করে কিনে দিলেন কুঠার, কি শেখাতে চাইলেন ত্রিভূবনের প্রিয় মোহাম্মদ? 

আরবীতে দূর্বল বাঙ্গালী চেয়ে থাকে দেওবন্দের টাইটেল পাশ মাওলানা, আল-আজহারের মুফতির মুখপানে; আজকাল অবশ্য মুফতি হতে দেওবন্দ বা মিশরে যেতে হয় না বাঙ্গালীরা এখন আরবী পড়তে জানে। গিরীশ চন্দ্র সেনের দেখোনো পথে বাংলা ভাষায় কোরান, হাদিসের বই পাওয়া যায় সর্বত্র। 

মসজিদের সংখ্যা যেমন বেড়েছে, বেড়েছে ভিক্ষাবৃত্তিও। নিরাপত্তার কারণে শহরে কিংবা গ্রামে চৌহদ্দি ঘেরা বাড়ি প্রবেশ পথে বিরাট লোহার গেট, লাগানো দামী তালাও ভিক্ষুকদের নিবৃত রাখতে পারছে না। ভিক্ষুক আসছেন, কড়া নাড়ছেন। ভিক্ষা না পেয়ে বাংলা ভাষায় বকা দিতে দিতে ছুটছেন আরেক ঠিকানায়। 

অর্থনীতি শাস্ত্রে বলে- কোন কিছু পাওয়ার আকাঙ্খা এবং তা সংগ্রহের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ এবং অর্থ ব্যয়ের ইচ্ছে থাকলেই তবে কেবল ঐ জিনিসের চাহিদার বিষয়টি স্বীকৃতি পাবে। ভিক্ষাবৃত্তির ক্ষেত্রে কোনো অর্থনীতিবিদ কোনো সংজ্ঞা দিয়েছেন এমনটি আমার জানা নেই। আসলে, ভিক্ষার অর্থই আমরা জানি না মনে হয়। নবীর আদেশ মানা যেখানে উম্মতের অবশ্য করণীয়, রসুলের খেলাপ গেলে আখিরাতে তাঁর শাফায়াত পাওয়া কঠিন হবে, এসব জেনেও ভিক্ষাবৃত্তি বাড়ছে কেন?

এই প্রশ্ন আমার মতো হয়তো আরও অনেকের মনেই জেগেছে, তাই না ?

-

ধন্যবাদ

         

Post a Comment

Previous Post Next Post