অগভীর কবিতা





এক.

 

তোমার খানিকটা কাদায় খানিকটা জলে

খানিকটা উদয়ে তো বাকিটা অস্তাচলে।

-

 

দুই.

 

তুমি খুব বুদ্ধিমান আর চালাক

তাই কি সমাজ দিয়েছে তালাক !

-

 

তিন.

 

আশকারা পেয়ে গিয়েছো ভুলে

হয়েছো কলাগাছ আঙ্গুল ফুলে।

-

 

পাঁচ.

 

তোমাকে প্রথম দেখেছিলাম চর্যাপদে,

এতোকাল পর এঁকেছি কাব্যের প্রচ্ছদে।

-

 

ছয়.

 

ঘুরে বেড়াস তবুও এ বাড়ি ও বাড়ি !

হয়েছিস বুড়ো, বলে মনের ব্যাপারি।

-

 

সাত.

 

গোলাপ ও সরোজ দূর থেকে দেখি,

আনাড়িভাবে অগভীর কবিতা লেখি।

-

 

আট.

 

আগুন আর আগুন দুইয়ে মিলে পানি

পানি আর পানি মিলে মাটি তাও জানি।

 

নয়.

 

কি কথা খাচ্ছে মাথায় ঘুরপাক ?

সে এসেছে, আজ তুই চুপ থাক।

-

 

দশ.

তোমাকে দিয়েছিলাম শর্তহীন স্বাধীনতা,

অধিকার পেয়ে ভুলে গেছো সকল কথা।

-

 

এগারো.

 

বাকলে বাকলে লেগেছিলো ঘসা

সেই দোষে আজ বৃক্ষতলে বসা।

-

 

বারো.

 

নরম দেখে শক্তি বাড়ে

কাজে গেলে পল্টি মারে।

-

 

তেরো.

 

নার্গিসের গায়ে খুব জ্বর

লাগবে অমল ডাক্তার, সর।

-

 

চৌদ্দ.

 

গণতন্ত্র দেখতে চাও

দল বেঁধে পাকিস্তান যাও!

-

 

পনেরো.

 

মাথার কিড়া দিলাম কিন্তু- শোনেন না বাইডেন,

চায়নীজ মাল দেন সরিয়ে, দেন নারে ভাই- দেন।

-

 

ষোলো.

 

আমার সাথে লড়তে আসিস ময়দানে

বীরের বেশে নতুন করে পয়দা নে !

-

 

সতেরো.

 

পাখিরাও সন্ধ্যায় ফিরে আসে নীড়ে

ফিরলে না তুমি শুধু- ভাসি আঁখি নিরে।

-

 

আঠারো.

 

জীবন আকরে ঘূর্ণায়মান বুদ্ধাঙ্ক

চাতকের অপেক্ষায় কাঁদে শশাঙ্ক!

-

 

ঊনিশ.

 

অধরে রাখিলে অধর বুঝবে প্রেমের কদর,

মন এমনই আয়না যার- দুই পাশেতেই সদর।

-

 

বিশ.

 

কলম সৈনিক তুমি, হাত তোমাকে ওঠাতেই হবে,

দেশপ্রেম থাকে সবার, ইতিহাসে কি সবাই রবে?

-

 

একুশ.

 

ডালে পাখি মুখ ঘসে

কী যে সুখ রসে কষে!

-

 

বাইশ.

 

নার্গিস চায় তোষামদের বড়া

এ জন্যই তেলের মূল্য চড়া।

-

 

তেইশ.

 

আজকে তুমি ব্যস্ত আছো জবর,

কেমন করে নেবে আমার খবর!

-

 

লিখেছেন-সাগর হেলাল

 

Post a Comment

Previous Post Next Post