আমরা কি সার্বজনীন মন মানসিকতা অর্জনে কোনদিনও সক্ষম হবো? কে জানে। রহিম তাজেলের বিতর্কে পণ্ডিত মশাইয়ের ভালো মানুষের সংজ্ঞা সেই যে পাল্টিয়েছে, আজ পর্যন্ত তা সংশোধিত হয় নি। সংশোধন করবে কে ?
অনেক প্রত্যাশায় যাকে আনা হয়, সে আসে নিজের হিসেব নিয়ে, চাপিয়ে দেয় সাধারণ্যে। সাম্প্রতিক ঘটনা প্রবাহ- সেটাও ঐ একই রকম। এ পর্যায়ে একটা দৃষ্টান্ত দেয়ার লোভ সামলানো গেলো না।
কোন এক দেশে রাষ্ট্রীয় সমস্যা এমন এক স্থানে পৌছালো যে, গোল টেবিল লম্বাটেবিল বৈঠক কোন কাজে আসলো না। নানান ধরণের কুটনৈতিক তৎপরাতাও ব্যর্থ হলো। আধুনিক সকল প্রচেষ্টা যখন ব্যর্থ হলো, তখন কী আর করা ট্রাডিশনাল পদ্ধতির সাহায্য নিতে তারা বাধ্য হলো।
একদল বিজ্ঞ জ্যোতিষীর মেলা বসানো হলো। বলা দেয়া হলো গণে-পড়ে দেশের বর্তমান সমস্যা সমাধানের রাস্তা বের করো। তা না হলে ক্রস ফায়ার। জ্যোতিষীগণ পড়লেন বেজায় ফাঁপরে। কোন ভাবেই তারা এ সমস্যা সমাধানের রাস্তা বের করতে পারছে না। কিন্তু ক্রস ফায়ারের ভয়ে জ্যোতিষীরা নিজেদের মধ্যে শলা-পরামর্শ করে, একটা সিদ্ধান্তে পৌঁছালো এবং তা রাষ্ট্রপক্ষকে জানিয়ে চলে গেলো।
জ্যোতিষীরা চলে যাওয়ার পর রাষ্ট্র পরিচালনায় দায়িত্বরত লোক জনের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা লক্ষ্য করা গেলো। মিডিয়াতে খবর এলো খুব শীঘ্রই সকল সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। কিন্তু বিধি বাম। পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের মতো জ্যোতিষীদের সিদ্ধান্ত ফাঁস হয়ে গেলেও সমস্যার সমাধান হলো না। কারণ হিসবে বলা হলো- সহস্র চেষ্টা করেও রাষ্ট্রে একটি ভার্জিনজুটি খুঁজে যায় নি।
-
সাগর আল হেলাল
কলামিস্ট
২৪.০৩.২০২২
Post a Comment